রাজধানীর ডেমরায় কলেজ সংলগ্ন আল আমিনের রিক্সার গ্রেজে সোহেল নামে এক যুবককে মারধর করে স্থানীয় যুবদল নেতা হামিদুল্লাহ সুমন।মারধরের সময় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায় হামিদুল্লাহ সুমন লোহার পাইপ দিয়ে সোহেল নামের ঐ যুবককে অমানুষিকভাবে পেটাচ্ছে।স্থানীয় লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উক্ত মারধরের ঘটনা কে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী সোহেল ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে ডেমরা থানা পুলিশ যুবদল নেতা হামিদুল্লাহ সুমনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের আপস মীমাংসা হামিদুল্লাহ সুমনকে থানা থেকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানা যায় হামিদুল্লাহ সুমন একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। কিছুদিন আগে হামিদুল্লাহ সুমন মিরপাড়ায় অবস্থিত হোটেল হোসেনের মালিকের কাছে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।হোটেল হোসেনের মালিক চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে যুবদল নেতা হামিদুল্লাহ সুমন দলবল নিয়ে উক্ত হোটেল ভাঙচুর এবং লুটপাট করেন। হামিদুল্লাহ সুমন কর্তৃক হোটেলের মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করার একটি কল রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে স্থানীয়রা প্রদান করেন।সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যুবদল নেতা হামিদুল্লাহ সুমনের চাঁদা বাজিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে বিচারের নামে সে সেখানে থেকে চাঁদা দাবি করে। এলাকাবাসী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হ্যালো বাংলাদেশকে জানান সোহেল নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের আপোসের ভিত্তিতে মুচলে কার মাধ্যমে তাকে থানা থেকে অভিযোগ কারীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।