পরীক্ষিত বিএনপি নেতা বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী, আওয়ামী হামলা,মামলায় নির্যাতিত নেতা আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম শিকারী। আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির মিটিং মিছিলে যার ভূমিকা ছিলো অগ্রগন্য। এছাড়াও হারানো ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বৈরশাসন থেকে দেশ মুক্ত আন্দোলনে রাজপথে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তার হাত ধরেই আড়াইহাজার উপজেলা তথা মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সকল প্রকার দলীয় কর্মকান্ড, আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছে সরব ও চলমান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের পরীক্ষিত একজন দক্ষ, কর্মীবান্ধব ও নির্বীক সৈনিক হয়ে আড়াইহাজার উপজেলা ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপিকে আরও সুগংগঠিত করতে নিরলসভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছেন মাসুম শিকারী। তিনি কোন দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বিএনপি রাজনীতি ও শহীদ জিয়ার আদর্শ যার রক্তের প্রতিটি শিরায় বহমান।
জানাগেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের একজন বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন মাসুম শিকারী।বর্তমানে যারা বিএনপির বিভিন্ন পদ প্রত্যাশি তারা ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীও যখন ছিলেন না তখন মাসুম শিকারী জেলা পর্যায়ে মিটিং মিছিল করেছেন। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি। স্কুলে লেখাপড়ার সময়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন।
সম্পূর্ণ বিএনপি রাজনীতি পরিবারের সন্তান মাসুম শিকারী। তার বাবা আর চাচা'রা ছিলেন মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির জনপ্রিয় অকুতোভয় সৈনিক। মূলত পরিবার থেকেই মূলধারার নেতৃত্ব অর্জন করেন মাসুম শিকারী। কোনো বাধাই তাকে পিছু হঠতে দেয়নি। সম্প্রতি ১৭ বছরেরর আওয়ামী স্বৈর শাসন হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি লেবাসধারী বিধংসী আওয়ামী নেতাদের অনৈতিক ও অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিহত করতে গিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার শিকার হন মাসুম শিকারী। তবুও তিনি দমে যাননি। দলকে সুসংগঠত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মাসুম শিকারী।
আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের ইতিহাস কারো অজানা নয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি’র নেতা কর্মীরা আওয়ামী সন্ত্রাস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে অনেক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়েছে। তবে জেলার সব থেকে আড়াইহাজারের পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও আলাদা। কারন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার আশীর্বাদ পুষ্ট আলোচিত সাবেক এমপি ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এই উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন। অথচ এই পাহাড়সম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে সামলে নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন একজন দক্ষ সংগঠক, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী আমলের শেষ ৯ বছর আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও নজরুল ইসলাম বাবু'র মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। যিনি দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হয়েছেন একাধিকবার হামলার শিকার ও বহু মামলার আসামি। আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার পরিবার। এদিকে আওয়ামী শাসনের অবসানের পরও এখনো থেমে নেই নজরুল ইসলাম বাবু'র দোসররা। তারা ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি’র ছায়াতলে ঠাই নিয়ে মাসুম শিকারীকে দমিয়ে রাখতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যদিও মাসুম শিকারী বলছেন, কোনো যড়যন্ত্রই তাকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে নজরুল ইসলাম আজাদের দিকনির্দেশনায় দলের স্বার্থে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশে শেষ অবধি শত শত কর্মী নিয়ে রাজপথে ছিলেন তিনি।
স্বৈরাচার পতনের পর মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্যে তার প্রথম ঘোষণা ছিলো- ”আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ি। ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী যে দলের বা যে পরিচয়ের হোক না কেন তাদের সাথে কোন আপোষ নয়। এরা দেশ তথা সমাজের জন্য ক্ষতিকর ভাইরাস, তাদেরকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশে আড়াইহাজারের সাধারণ জনতাকে সাথে নিয়ে যে কোন অন্যায় অপশক্তি রুখে দিতে মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপি প্রস্তুত আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : এম এইচ সোহাগ খান, বার্তা সম্পাদক : মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, উপদেষ্টা : মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন
হেড অফিস : মা হলি সিটি টাওয়ার (৩ তয় তলা) সারুলিয়া,ডেমরা,ঢাকা-১৩৬১ আঞ্চলিক অফিস : ২৩৬,নুরুল আফসার চৌধুরী মার্কেট, খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। মোবাইল : ০১৬১৬-৮৮০৩৩০ ইমেইল: sohagkhan880330@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত